Keep the blessing flowing | Become a Monthly Donor →

ILMAN NAFIYA

Search
Close this search box.

আমাদের সম্পর্কে

ঈলমান নাফিয়া একটি যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বাংলাদেশী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা করোনাকালীন সময়ে বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে যাত্রা শুরু করেছে। মূলত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইসলামি শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সামাজিক-আর্থিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

কাজের ক্ষেত্র:

  • ইসলামি শিক্ষা: প্রথম দিকে অনলাইনে ইসলামের মৌলিক বিষয়াবলি শিক্ষা দিয়ে শুরু করে, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা ও মক্তবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
  • সামাজিক সেবা: দেশের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ সহায়তা প্রদান, ইয়াতিম শিশুদের ভরণ-পোষণ, প্রত্যন্ত অঞ্চল ও মসজিদ-মাদ্রাসাতে নলকূপ স্থাপনসহ ইত্যাদি সামাজিক কাজ করে থাকে।
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতা: ফিলিস্তিনের মতো সংকটগ্রস্ত অঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। সম্প্রতি ঈলমান নাফিয়ার উদ্যোগে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রবাসী ও বাংলাদেশীদের পাঠানো অনুদান দিয়ে ২২টি কনটেইনারে ত্রাণসামগ্রী মিশর সীমান্ত দিয়ে গাজায় পাঠানো হয়। পাশাপাশি ঈলমান নাফিয়ার পক্ষ থেকে আরও ১৫টি খাদ্যসামগ্রীর লরি গাজায় পৌঁছে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। 
  • যুব উন্নয়ন: তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ ও কর্মসূচি পরিচালনা করে।

 

বিশেষ বৈশিষ্ট্য:

  • দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ফোকাস: শুধু শহরকেন্দ্রিক নয়, দেশের দূরবর্তী অঞ্চলের মানুষের কাছে শিক্ষা ও সামাজিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করে।
  • আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক: বিভিন্ন দেশের প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা করে।
  • যুবদের উপর জোর: তরুণ প্রজন্মকে ইসলামিক শিক্ষা এবং সামাজিক কাজে উৎসাহিত করে।
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: দেশের বিভিন্ন দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সাড়া দিয়ে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করে।

 

সার্বিকভাবে, ঈলমান নাফিয়া একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যা ইসলামী শিক্ষা প্রদান, সামাজিক সেবা এবং মানবতাবাদী কাজের মাধ্যমে সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ঈলমান নাফিয়ার মূলনীতি হলো পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল ﷺ এর সুন্নাহ। আমরা কুরআন ও সুন্নাহকে সালাফে সালিহীনের ব্যাখ্যার আলোকে গ্রহণ করি এবং আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামা‘আহর আক্বীদা ও দৃষ্টিভঙ্গি লালন করি। শিরক ও বিদ‘আত থেকে মুক্ত ঈমান ও আমলের প্রতি আমরা সর্বদা আহ্বান জানাই।

উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির জন্য আমরা কাজ করি। মতপার্থক্যপূর্ণ বিষয়ে যথাসম্ভব প্রান্তিকতা পরিহার করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা রাজনৈতিক কর্ম ও অবস্থান গ্রহণ থেকে বিরত থাকি এবং দলমত নির্বিশেষে সকলের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই।

আমাদের মূল লক্ষ্য:

  • কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে ইসলামের প্রকৃত বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
  • সঠিক আকীদা ও সহীহ সুন্নাহ প্রচার করা।
  • শিরক ও বিদআত থেকে সচেতন করা।
  • মুসলিম সমাজে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করা।
  • দারিদ্র্য, অসহায়তা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কাজ করা।

 

আমাদের বিশ্বাস: আমরা বিশ্বাস করি যে, আমরা যা করি তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।

ঈলমান নাফিয়া আল-কুরআন ও রাসূলুল্লাহ এর জীবনাদর্শকে সামনে রেখে নিম্নলিখিত লক্ষ্যে কাজ করে:

 

(ক) শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন
  • প্রাতিষ্ঠানিক ও উপ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্মত ইসলামি ও সাধারণ শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
  • কর্মমুখী প্রশিক্ষণ: সুবিধা বঞ্চিত দরিদ্র যুবক-যুবতীদের কর্মক্ষেত্রে সফল হতে সহায়তা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মমুখী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।
  • দ্বীনি দক্ষতা বিকাশ: অনলাইন প্লাটফর্মে বিনামূল্যে প্রখ্যাত আলেমদের দ্বারা তাজবিদ শিক্ষাসহ ইসলামিক মৌলিক বিষয়ের উপর গুরুত্বপূর্ণ দারস পরিচালনা করা এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ইসলামের বার্তাগুলো সুন্দর ও আকর্ষণীয় ডিজাইনে প্রচারের জন্য বিভিন্ন কন্টেস্টের মাধ্যমে তরুণ সমাজকে উদ্বুদ্ধ করা।

 

(খ) মানব সেবা
  • আর্তমানবতার সেবা: দুর্ভোগী, অসহায় ও গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়ানো।
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা: দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ এবং পুনর্বাসনের কাজ করা।
  • স্বাস্থ্যসেবা: অসহায়, আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষদেরকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

 

(গ) দাওয়াত ও ইসলাহ
  • দাওয়াতি কার্যক্রম: ইসলামের সঠিক বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
  • সৎকর্মে উৎসাহ: সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে মানুষকে উৎসাহিত করা।
  • অসৎকর্ম নিবারণ: সমাজ থেকে অসৎকাজ দূর করার চেষ্টা করা।
  • মুসলিম উম্মাহর ঐক্য: মুসলিম সমাজে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 

আমরা বিশ্বাস করি যে, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন, মানব সেবা এবং দাওয়াতি কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা একটি সুষ্ঠূ ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারব ইন শা আল্লাহ্‌।

আমাদের কার্যক্রম:

  • দাওয়াহ প্রচার: অনলাইন ও অফলাইনে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত আলেমদের দ্বারা ইসলামিক দারস পরিচালনা করা। 
  • কুরআন শিক্ষা : তাজবিদসহ কুরআন শিক্ষাদান।
  • সামাজিক কাজ: দরিদ্র ও অসহায়দেরকে আর্থিকভাবে সাহায্য করা।
  • রিলিফ কাজ: দুর্যোগকবলিত এলাকায় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা।
  • মসজিদ নির্মাণ  ও মক্তব পরিচালনা:  দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মুসল্লিদের জন্য মসজিদ নির্মাণ ও মক্তব পরিচালনা করা।

ঈলমান নাফিয়া নিম্নলিখিত উৎস থেকে তহবিল সংগ্রহ করে এবং এর মাধ্যমে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে:

  • প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের দান: ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের দানকৃত অর্থ।
  • সদস্য, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদান: ফাউন্ডেশনের সদস্য, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা এককালীন বা নিয়মিতভাবে অনুদান প্রদান করেন।
  • জনসাধারণের বিশেষ অনুদান: জনসাধারণ বিশেষ কোনো প্রকল্পে অর্থ দান করতে পারেন।
  • যাকাত ও ফিতরা: সচ্ছল মুসলমানদের প্রদেয় যাকাত ও ফিতরা ফাউন্ডেশনের তহবিলে যোগ হয়।
  • ইফতার ও কুরবানি: রমজান মাসে ইফতার ও কুরবানির খাতে সংগৃহীত অর্থ।

 

উপরে উল্লেখিত সকল উৎস থেকে সংগৃহীত অর্থ ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন কার্যক্রম স্ব স্ব খাতের পাশাপাশি যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দাওয়াহ ইত্যাদিতে ব্যয় করা হয়। ফাউন্ডেশন সর্বদা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে এই তহবিল ব্যবহার করে এবং নিয়মিত হিসাব রাখে।

ঈলমান নাফিয়াতে দাতাদের দানকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নিম্নলিখিত ব্যয়ের নীতিমালা অনুসরণ করে:

  • নির্দিষ্ট খাতে ব্যয়: দাতাগণ যে নির্দিষ্ট খাতে দান করেন, সেই খাতেই অর্থ ব্যয় করা হয়। অর্থাৎ, যদি কেউ কোনো নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য দান করেন, তাহলে সেই অর্থ কেবল সেই প্রকল্পের জন্যই ব্যবহৃত হয়। এক খাতের অর্থ অন্য খাতে স্থানান্তর করা হয় না।
  • যাকাতের বণ্টন: যাকাত তহবিল থেকে সংগৃহীত অর্থ শতভাগ হকদারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। যাকাতের নির্দিষ্ট হকদারদের মধ্যে এ অর্থ বিতরণ করা হয় এবং কোনো ধরনের প্রশাসনিক খরচ এই তহবিল থেকে বাদ দেওয়া হয় না।
  • হিসাব রক্ষণ: প্রতিটি প্রকল্পের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব সংরক্ষণ করা হয়। এই হিসাবগুলি নিয়মিত পর্যালোচনা করা হয়।

 

এই নীতিমালার উদ্দেশ্য হল:

  • দাতাদের আস্থা অর্জন করা: দাতাদের দেওয়া অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিশ্চিত করে দাতাদের আস্থা অর্জন করা।
  • জবাবদিহিতা: ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
  • স্বচ্ছতা: ফাউন্ডেশনের আর্থিক লেনদেন স্বচ্ছ রাখা।